গল্পটি ফিজা নামের একটি ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে যে এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো। ফিজার দেহে অনেক রক্তের প্রয়োজন ছিলো যা কিনা শুধুমাত্র তার পাঁচ বছর বয়সের ছোট ভাইটিই দিতে পারবে।
এর কারন হলো তার ছোট ভাইটি এই রোগে আক্রান্ত ছিলো এবং অলৌকিকভাবে এই রোগের হাত থেকে বেচে গিয়েছিলো। তাই তার রক্তে এই রোগের বিরুদ্ধে তৈরী এন্টিবডি ছিলো।
ডাক্তার তাই ফিজার এই ছোট ভাইটিকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলো এবং জিজ্ঞেস করলো সে স্বেচ্ছায় তার বোনটিকে রক্ত দিতে রাজি আছে কিনা। ডাক্তারের এই কথায় সে এক সেকেন্ডের জন্যে দ্বিধা করলো,এরপর একটা বড় নিশ্বাস নিলো এবং বললো যে,
'আমি ফিজাকে রক্ত দিতে রাজি আছি,যদি সে এতে বেঁচে যায়।'
রক্ত দেওয়ার সময় তাকে যখন ফিজার পাশের বেডে শুইয়ে দেয়া হলো তখন সে তার বোনের দিকে তাকিয়ে সুন্দর একটা হাসি দিলো যেমনটা আমরা সবাই আমাদের বোনকে দেখে দেই। এরপর তার চেহারা একটু মলিন হয়ে গেল এবং তার হাসিও বিবর্ণ হয়ে গেল।সে তার পাশে থাকা ডাক্তারের দিকে তাকালো এবং তার বোন যাতে শুনতে না পায় এমন ফিসফিস কন্ঠে বললো,’আমি কি রক্ত দেয়া শুরু হলে মারা যাওয়া শুরু করবো?’
এই লাইনটা পড়ে আমি আমার চোখের পানি আটকে রাখতে পারি নি।ছেলেটি এত ছোট ছিলো যে সে কারো জন্য রক্ত দেওয়ার অর্থ বুঝতো না,সে ভেবেছিলো যে তার শরীরের সবটুকু রক্ত ফিজার জন্যে নিয়ে নেয়া হবে।তবু সে এইটুকুন বয়সে তার বোনকে বাঁচানোর জন্য তা দিয়ে দিতে রাজী হয়েছিলো।
আমাদের আজ এই ছোট্ট ছেলেটির মত হতে হবে।দুর্ভাগ্যবশত আমরা আজ সম্পর্কের মূল্য দিতে ভুলে গিয়েছি।আমাদের এই ছেলেটির কাজ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত আর আমাদের প্রিয়জনদের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন